১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ আমরা যাদের হারিয়েছি

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও ঘাতকের বুলেট কেড়ে নিয়েছিল তাঁর

স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেল,

সুলতানা কামাল খুকু:
(জন্ম: ঢাকা, ১৯৫১)-সুলতানা কামাল খুকু ছিল শেখ কামালের স্ত্রী । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এস এস.(অনার্স) পাস করেন । তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ক্রীড়াবিদ ছিলেন । তিনি রেকর্ডের সঙ্গে লং জাম্পের উপর বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন ।







পারভিন সুলতানা রোজী:
(জন্ম: সিলেট, ১৯৫৬)-পারভিন সুলতানা রোজী শেখ জামালের স্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধু এর কনিষ্ঠ বোন খাদেজা হোসেনের মেয়ে । তিনি বদরুরনেসা আহমেদ কলেজে অধ্যয়নরত ছিল । তার বাবা ছিল সৈয়দ হোসেন বঙ্গবন্ধু সরকারের অধীনে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসাবে কর্মরত ছিলেন ।








শেখ আবু নাসের:
(জন্ম: টুঙ্গিপাড়া ,গোপালগঞ্জ, সেপ্টেম্বর ১৯২৮) -শেখ আবু নাসের ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের অনুজ । তিনি খুলনার মধ্যে একজন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ছিলেন ।











 আবদুর রব সেরনিয়াবাত:
(জন্মঃবরিশাল, চিত্রা, ১৩২৭)-আবদুর রব সেরনিয়াবাত বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের তৃতীয় বোন আমেনা বেগমের স্বামী । বঙ্গবন্ধু তাকে কৃষি মন্ত্রী হিসেবে ১৯৭৩ সালে নিয়োগ করেন। তিনি কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।









শেখ ফজলুল হক মনি:
(জন্মঃটুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ৪ ডিসেম্বর, ১৯৩৯)-শেখ ফজলুল হক মনি শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোনের বড় ছেলে । তিনিই যুবলীগের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান । 









বেগম আরজু মনি:
(জন্মঃবরিশাল, ১৫ মার্চ ১৯৪৭)-বেগম আরজু মনি শেখ ফজলুল হক মনির স্ত্রী । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের উপর এম এস এস ডিগ্রী লাভ করেন । 









 বেবী সেরনিয়াবাত:
(জন্মঃবরিশাল, ২০ মে ১৯৬০)-বেবী সেরনিয়াবাত ছিলেন আবদুর রবের কনিষ্ঠ কন্যা । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরী উচ্ছ বিদ্যালয়ের নবন শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন ।









শহীদ সেরনিয়াবাত:

(জন্মঃবরিশাল, ২৬ মার্চ ১৯৪০)-শহীদ সেরনিয়াবাত আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ভাগ্নে । তিনি বরশালের দৈনিক বাংলার সংবাদদাতা ছিলেন ।










আরিফ সেরনিয়াবাত:
(জন্মঃবরিশাল, ২৭ মার্চ ১৯৬৪)-আরিফ সেরনিয়াবাত ছিলেন আবদুর রব সেরনিয়াবাতের কনিষ্ঠি পুত্র । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরী উচ্ছ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন ।









সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু:
(জন্মঃগোরানাদি,বরিশাল, ২২ জুন ১৯৭১)-
সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু ছিলেন আবদুর রব সেরনিয়াবাতের নাতি ।









কর্নেল জামিলউদ্দিন আহমেদ:
(জন্মঃ গোপালগঞ্জ, ১ ফেব্রুয়ারী ১৯৩৩)-
কর্নেল জামিলউদ্দিন আহমেদ ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের প্রধান নিরাপত্তা অফিসার ।








আবদুল নঈম খান রিন্টু:

(জন্মঃবরিশাল, ১ ডিসম্বর ১৯৫৭)-আবদুল নঈম খান রিন্টু ছিলেন আমির হোসেন আমুর খালাতো ভাই । তিনি ১৯৭৫ সালে বরিশাল জেলা স্কুল থেকে এস এস সি পাস করেন ।








দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা শেখ রেহানা। শেখ রাসেলের হত্যাকান্ডটা অনেক মানুষকে আবেগী করে তুলেছিল, দেশি বিদেশি অনেক মানুষকে। জাহিদ রেজা নূর এর লেখায় সেদিনের কিছু টুকরো ছবি। একে একে হত্যা করা হয়েছে ভাইদের, ভ্রাতৃবধূদের। "ছোট ভাই রাসেল ভয়ার্ত মনে ভাবীদের কাছে খুঁজেছিল আশ্রয়। ভাবীরা লাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত আগলে রেখেছিল শিশু দেবরকে। এরপর শিশু রাসেলের শরীরেও গুলির ক্ষতচিহ্ন। এরই মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ওর মাকে। এবং হত্যা করা হয়েছে বাবাকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সিঁড়ির ওপর পড়ে আছেন তিনি। নীরব। নিথর। রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করেছে।
ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর রোডে তখন অমানিশার সমস্ত আঁধার। আঁধার পুরো দেশজুড়ে।
শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানা জীবনের এই নির্মমতম ট্র্যাজেডির কথা জানলেন পরে।
জানলেন দেশ থেকে অনেক দূরের এক শহরে বসে।